• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারীনগর বাজার এলাকায় শাকিল আহম্মেদ (২৩) নামে এক যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।  শাকিল আহম্মেদ সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের নওদাগ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।  নিহতের বড়ভাই মামুনুর রশিদ জানান, রাত ১০টার পর শাকিল নিজ মোটরসাইকেলে করে যশোর শহর থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন শাকিল। সাড়ে ১০টার দিকে তারা জানতে পারেন তার ভাই শাকিল আহম্মেদ সড়ক দুর্ঘটনায় বারীনগর বাজারে নিহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, কী গাড়ির সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা কেউ বলতে পারছে না। পরিবার ও এলাকাবাসীর ধারণা, কোন ট্রাক বা পরিবহন তাকে চাপা দিয়ে চলে গেছে। এ বিষয়ে ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪৫

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিওকর্মী নিহত
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় কাজী শাহারিয়াল হোসেন স্বাধীন (২৮) নামে এক এনজিওকর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার ভেকুটিয়ার কাজী শাহাদৎ হোসেনের ছেলে। শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত স্বাধীন জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনে ঝিনাইদহে কর্মরত ছিলেন।  স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি ট্রাকের নিচে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান।  পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১২

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৩৭২ প্রাণ
চলতি বছরের জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১২১ জন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মাসিক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ৯২ জন নিহত হয়েছেন ঢাকা বিভাগে। সবচেয়ে কম ১৬ জন নিহত হয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগে। অন্যদিকে, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছে, জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে  মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন এবং ১১৩ পথচারী মারা যান। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি প্রতিরোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সুপারিশগুলো হলো- ১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে। ২. চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। ৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে। ৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। ৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ৮. রেল ও নৌ পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে। ৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।  ১০. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৯:০০

‘আয়নাঘর’-এ থাকা নিয়ে যা জানালেন অভিনেত্রী নওশাবা
সময়টা ২০১৮ সাল, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদও ছিলেন এই আন্দোলনে। সেসময় আন্দোলন নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা দেওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। টানা ২১ দিন বন্দি ছিলেন তিনি। গুঞ্জন উঠেছে বন্দি থাকাকালে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল নওশাবাকে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।  আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল কি না—জানতে চাইলে নওশাবা বলেন, ‘আয়নাঘর’ কি না সেটা বলতে পারব না। তবে কালো কাপড় দিয়ে আমার চোখ বাঁধা ছিল। এইভাবে ২১ দিন বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’ নওশাবা তার গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে বলেন, ‘২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি ছিলাম। ঘটনার দিন (৪ আগস্ট) বিকেলে ধানমণ্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে আমি বলেছিলাম, আমরা যদি ১৯৫২ সালে পেরে থাকি, ১৯৭১ সালে পেরে থাকি তবে এবারও পারব, আপনারা ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। ঘটনাস্থলে যেটা হচ্ছে, আমি সেটাই বলছিলাম। এসব কথা বলার কারণে আমি রাজাকার কীভাবে হলাম? এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কোথায় আমি নিচে নামিয়েছি? তবে হ্যাঁ, লাইভে দু-একটা ভুল বাক্য থাকতে পারে। তাই বলে কয়েক দফা রিমান্ড? আমি বুঝেই উঠতে পারিনি আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী, গাদ্দার বা গুজবের রানি কেন বলা হচ্ছিল। তখনই বুঝে গেছি, এ দেশে সত্য বলার পরিস্থিতি নেই।’ নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দেশটা এখন অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবকিছু যেন মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকে।’
১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৬

একাধিক পদে নিয়োগ দেবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডে (ডিএমটিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৬টি পদে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন— প্রতিষ্ঠানের নাম: সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কোম্পানির নাম: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) চাকরির ধরন: স্থায়ী প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। তবে প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। কর্মস্থল: ঢাকা আবেদনপত্র সংগ্রহ: আগ্রহীরা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অথবা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনের ঠিকানা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল), প্রবাসী কল্যাণ ভবন, লেভেল-১৪, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১০০০। আবেদন ফি: ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর অনুকূলে ২, ৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নং পদের জন্য ২০০০ টাকা, ১, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ নং পদের জন্য ১৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করতে হবে। টাকা জমার রশিদ অবশ্যই আবেদনপত্রের সঙ্গে পাঠাতে হবে। আবেদনের শেষ সময়: ১৯ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত।
২৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৪

যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
যশোরের বাঘারপাড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাতজন। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুলাই) সকালে যশোর-নড়াইল সড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কেশবপুর উপজেলার রাজাকাঠি গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে তারেক রহমান (৩৫), বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত শুকুর শেখের ছেলে সিদ্দীক শেখ (৫০) এবং ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের সবেদ আলীর ছেলে আব্দুস সবুর (৪২)। আহতরা হলেন, দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের আবু সুফিয়ান (২০), সাহিদুল ইসলাম (১৮), আব্দুল মজিদ (৪৮) ও কবির হোসেন (৩৫) এবং গাজীপুর জেলার রায়হান হোসেন, ফরিদ আলী ও রমজান আলী। এর মধ্যে আব্দুল মজিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নড়াইল থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক বাঘারপাড়া উপজেলার যশোর-নড়াইল মহাসড়কের দক্ষিণ শ্রীরামপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদারের বাড়ির সামনে এসে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এ সময় কয়েকজন মৎস্য শিকারিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সিদ্দিক শেখ। আহত হন আরও চারজন। একই দিন বেলা ১১টার দিকে যশোর-নড়াইল সড়কের করিমপুর ঈদগাহর সামনে মাছ ও মুরগির পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন, তারেক রহমান (৩৫) ও সবুর (৪২)। ঘটনাস্থলে সবুর মারা যান। আর তারেক রহমানকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মুসলিম আলীর ছেলে রায়হান হোসেন (২৫), জামালপুর জেলার সদর উপজেলার নুরশিয়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (৩০) ও শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার গোলস্নারবাসা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে শেখ ফরিদ (৪০)। আহতদের ২৫০ বিশিষ্ট যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। বাঘারপাড়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম পৃথক দুটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা হয়। বাঘারপাড়া থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও পিকআপ উদ্ধার করেছে। তবে ট্রাক ও পিকআপের দুই চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, দুটি পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন পিকাপ চালক এবং একজন পিকাপ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে গেলে মহাসড়কের পাশে থাকা এক পথচারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
১৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:০১

জুনে সড়কে প্রাণ গেল ৮০১ জনের
জুন মাসে সারাদেশে ৫৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮০১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় অন্তত তিন হাজার ২৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার (১০ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি দেশের গণমাধ্যম ও পঙ্গু হাসপাতালে তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, জুন মাসে রেলপথে ৪৬টি দুর্ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন নয়জন। এ সময় নৌ পথে নয়টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জনের মৃত্যু হয়, সাতজন আহত হন ও নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া সড়ক, রেল ও নৌ পথে মোট ৬১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ঝরেছে ৮৫৫ প্রাণ। আহত হয়েছেন তিন হাজার ২৮৩ জন। সংগঠনটির হিসাবে, সবচেয়ে বেশি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। জুনে ২১৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২২ জন নিহত ও এক হাজার ৯৩ জন আহত হয়েছেন-যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শতকরা হিসাবে নিহত হয়েছেন ৩৮ দশমিক এক শতাংশ ও আহতের ৩৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। দুর্ঘটনার বিভাগ ওয়ারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় এই বিভাগে নিহত হয়েছেন ১৩৯ জন। আহত হয়েছেন ২১৪ জন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী জুন মাসে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমতে, ৫৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৪ জন নিহত ও ১ হাজার ১২৮ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে ২ হাজার ১৩৯ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত বা পা ভেঙে ভর্তি রোগী ৯২২ জন।  সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুই হাজার ১৩৯ জন ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত রোগী ৯২২ জন।
১০ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩৫

কুড়িগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুড়িগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজন হলেন, জেলার ভূরুঙ্গামরী উপজেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজদ ও ফুলবাড়ী উপজেলা নবনির্বাচিত ভাইস চেয়াম্যান মেহেদি হাসানের বাবা আতাউর রহমান। ভূরুঙ্গামরী থানা পুলিশ জানায়, বুধবার (২৬ জুন) সকালে আবুল কালাম আজদ (৬০) ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের সাহাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে আন্ধারীরঝাড় যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে মারা যান। তিনি ওই এলাকার মৃত জব্বার আলীর সন্তান। ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, ‘সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।’ অপরদিকে ফুলবাড়ীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের বাবা আতাউর রহমান (৬২) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১০টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফুলবাড়ী-বালারহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা মোটরসাইকেলটি আটক করেছে। তবে চালক উপজেলার কুরুষা ফেরুষা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে এবং ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মোড় এলাকার ‘আদি মোটরসাইকেল মেকানিকসের’ কর্মচারী লিমন মিয়া (১৫) পালিয়ে গেছেন।  স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন আতাউর রহমান। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পাকা রাস্তার ওপর পরে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। পরে অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 
২৬ জুন ২০২৪, ১৬:২২

বোদায় ওসির বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অন্যায়ভাবে জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ এবং ভূমিদস্যু তোফায়েল আহম্মেদ ও বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।  শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার ময়দানদিঘি বাজারে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের ব্যানারে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।  এ দিকে খবর পেয়ে বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফুয়াদ ও বোদা হাইওয়ে থানার ওসি শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে মামলার বিষয়ে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আনসারুল ইসলাম, পারুল বেগম, শাপলা আক্তার, আর্ণিকা বেগম, শাহজাহান আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জমকুড়াপাড়া এলাকার আনসারুল ইসলাম ও তার পরিবার দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে ক্রয়সূত্রে ২৪ বিঘা জমির মালিকানা লাভ করেন। তবে ওই জমি গত কয়েক বছর আগে স্থানীয় আনিসুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা গাজীপুর জেলার তোফায়েল আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। পরে এ নিয়ে আদালতে মামলা গড়ায়। সম্প্রতি সেই জমি দখলে নিতে বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হককে ঘুষ দিয়ে তার উপস্থিতিতে কাটা তারের বেড়া দিয়ে জমি দখলে নেয় ভূমিদস্যু তোফায়েল। পরে তোফায়েল বোদা থানায় সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত ও মালামাল চুরির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার আসামি ধরতে রাতের আঁধারে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছে।  অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধসহ ভূমিদস্যু তোফায়েল ও বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হকের বিচার দাবি করেন বক্তারা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আনসারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জমি অন্যায়ভাবে দখলে নিয়ে আমাদের ওপরই মালামাল চুরির একটি মিথ্যা মামলা বোদা থানায় দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রাতে আমাদের ধাওয়া করছে। আমাদের পরিবারের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের কারও এইচএসসি কারও অনার্স পরীক্ষা চলছে। তারাও বাসায় থাকতে পারছেনা। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই। সেই সঙ্গে অবৈধ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ভূমিদস্যু তোফায়েল ও বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হকের বিচার চাই।’ মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে ময়দানদিঘী বাজারে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে অর্ধশতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত তোফায়েল আহম্মেদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কাগজপত্রের শক্তিতে সেই জমিতে গিয়েছি। আমি কোনো দখলের সঙ্গে জড়িত নই। আমার মালামাল চুরি হয়েছে, আমি এ জন্য মামলা দায়ের করেছি। এখানে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়নি।’ বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সব অভিযোগ অস্বীকার করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ওই ঘটনায় সকল কর্মকাণ্ড আইন অনুযায়ী করা হয়েছে।’ বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম ফুয়াদ বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায় বিচারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি। কাউকে যেন হয়রানি না করা হয় সেটি আমরা লক্ষ্য রাখছি। তবে পুরো ঘটনা শুনে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ার পর তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
২২ জুন ২০২৪, ২০:৪৮

নিরাপদ ঈদ পালনে পুলিশের যেসব পরামর্শ
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা নিরাপদ করতে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রচার করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর।  পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, কোরবানির পশু পরিবহন ও পশুর হাটের নিরাপত্তা, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু পরিবহন করবেন না। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনায় সতর্ক থাকুন। কোরবানির পশুবাহী পরিবহন/নৌযানের সামনে পশুর গন্তব্যস্থান/পশুর হাটের নাম লিখে ব্যানার টানিয়ে রাখুন।  ট্রাক, লঞ্চ বা ট্রলারে অতিরিক্ত পশু পরিবহন করবেন না। কোরবানির পশু চুরি/ডাকাতি রোধে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নৈশকালীন প্রহরার ব্যবস্থা রাখুন। ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করুন। বড় আর্থিক লেনদেন বা অর্থ বহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নিন। কোনো নোট জাল সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানান। কাউকে অজ্ঞানপার্টি, প্রতারকচক্র, চাঁদাবাজ বা অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারী সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশকে খবর দিন। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন। চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দেবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করবেন না। রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হোন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে কিংবা জয় রাইডিং করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অপরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে খাবার খাবেন না। বাস মালিক লাইসেন্সবিহীন, অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে না দেওয়া। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দেওয়া। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না। যাত্রীপরিবহনে ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না। বাস চালক বেপরোয়াভাবে ওভার স্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং করবেন না। ক্লান্তি বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সাথে রাখুন। আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন। লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোটের যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না। নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন। স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন। লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট মালিক নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করুন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখুন। নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন। লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট চালক আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন। ডেকের উপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন। নৌযানে পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া/লাইফ জ্যাকেট রাখুন। যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন। নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন। প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন। বৈধ কাগজপত্রবিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন। সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নিনিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন। দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন। ট্রেন যাত্রী ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন। বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। গুজবে বিভ্রান্ত হবে ন না। যে কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশকে অবহিত করুন। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করুন। প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করুন- ০১৩২০০০১২৯৯, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮, নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ০১৭৭৭৭২০১৯৯ নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।  
১৫ জুন ২০২৪, ১২:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়